ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড ২০২৪

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি বন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে ‘Bangladesh Wildlife (Preservation) Order, 1973’ জারি করেন। বন্যপ্রাণী বাঁচাতে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার তাগিদে ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন। মূলত এই আইনের মাধ্যমে দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একে ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করেন। জাতির পিতা ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথ ধরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন অধিদপ্তর বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের অধীনে দেশের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ওয়াইল্ডলাইফ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ৬৪ জেলায় আয়োজিত হতে যাচ্ছে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড।

এ বছর সারাদেশে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ৬৪টি ভেন্যুতে জেলা পর্যায়ের অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। দুইটি ক্যাটাগরিতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সকল মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক, কারিগরি, মাদ্রাসা বা সমমান পর্যায়ের যেকোন শিক্ষার্থী স্কুল/কলেজ ক্যাটাগরিতে এই অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় আয়োজিত হবে জাতীয় পর্যায়ের অলিম্পিয়াড। বিজয়ীদের জন্য থাকবে লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার।

পাঠ্যসূচি: www.bfdwlo.org/syllabus
নমুনা প্রশ্ন: www.bfdwlo.org/sample_question
সহায়ক বইয়ের তালিকা: www.bfdwlo.org/book-list
অলিম্পিয়াড সংক্রান্ত FAQ: www.bfdwlo.org/faq

অলিম্পিয়াডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ুজনিত কারণে উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের জন্য বাংলাদেশ বৈচিত্র্যময় স্থান। আমাদের রয়েছে সুন্দরবনসহ এক বিস্তীর্ণ উপকূলীয় বনাঞ্চল, পাহাড়ি বন, শালবন ও জলাবন। এসকল বন বন্যপ্রাণীর মূল আবাসস্থল হিসেবে বিবেচিত। তবে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ, দ্রুত নগরায়ণ, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ ও বনাঞ্চল উজাড়সহ নানান কারণে আমাদের পরিবেশ সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এর ব্যতিক্রম নয় বন্য হাতির দল থেকে শুরু করে পাখি, এমনকি সাগরের তলদেশের প্রাণীরাও। এমনকি গত একশো বছরে দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী।। যার মধ্যে রয়েছে নেকড়ে, বন গরু, ভল্লুক, বুনো মহিষ, ভারতীয় ময়ূর ও মিঠাপানির কুমিরের মতো প্রাণী। বন্যপ্রাণীদের বিলুপ্তি (Extinction) ও বিপদাপন্ন (Threatened) হওয়ার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রকৃতির স্বাভাবিক ভারসাম্য, যা মানুষের ওপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বন্যপ্রাণী ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করা এখন তাই কেবল দরকারি নয়, বরং অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তাই সকল পেশার মানুষের এগিয়ে আসার পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। মূলত পাঠ্যবই এবং পাঠ্যবইয়ের বাইরে বন্যপ্রাণী, এদের আবাসস্থল এবং সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা এই অলিম্পিয়াডের মূল উদ্দেশ্য।

স্লোগান

স্মার্ট তারুণ্য বাঁচাবে অরণ্য

আয়োজক

সুফল প্রকল্প, বন অধিদপ্তর 
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়