সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য মূলত বাঘ শুমারি করা হয়ে থাকে। বাঘ শুমারি মূলত দুইটি পদ্ধতিতে করা হয়। যথাঃ  ১) বাঘের পায়ের ছাপ ও ২) ক্যামেরা ট্রাপিং। 

অতীতে বাঘের পায়ের ছাপ গণনার মাধ্যমে বাঘ শুমারি করা হতো, তবে এই পদ্ধতিতে অনেক ভুলভ্রান্তি ধরা পড়ে। সর্বশেষ ২০০৪ সালে এই পদ্ধতিতে সুন্দরবনের বাংলাদেশের অংশে বাঘ শুমারি করে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় ৪৩০ টি।

বর্তমানে আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যামেরা ট্র্যাপিং এর মাধ্যমে বাঘ শুমারি করা হয়। এই পদ্ধতিতে বাঘের ছবি তুলে তা বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়। একটা বাঘের ডোরাকাটা দাগ অন্য বাঘের ডোরাকাটা দাগের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো সংগ্রহ করে সফটওয়্যারের সাহায্যে তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা বের করা হয়। প্রায় ১২ ফুটের বৃত্তাকার জায়গায় গাছপালা কেটে বাঘকে সেই জায়গায় আসার জন্য একটি ফাঁদ তৈরি করা হয়। এখানে আসলেই বাঘের নড়াচড়া লক্ষ্য করলেই ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাঘের ছবি তুলে ফেলে। রাতের বেলায় ক্যামেরা ব্ল্যাক ফ্ল্যাশ ব্যবহার করে যার আলো খালি চোখে দেখা যায় না। ছবিগুলো একটি মেমোরি কার্ডে সংরক্ষিত হয়,যা বনকর্মীরা ৫ দিন পর পর গিয়ে সংগ্রহ করেন। ২০১৫ সালে এই পদ্ধতিতে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘ পাওয়া যায় ১০৬ টি। সর্বশেষ, ২০১৮ সালে ১১৪ টি বাঘ পাওয়া হয় এই পদ্ধতি ব্যবহার করে। বর্তমানে বাংলাদেশে বাঘ শুমারি চলমান রয়েছে যা ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হবে।  

রেফারেন্স :  

১। bit.ly/495MmT0 

২। https://www.bbc.com/bengali/news-43054226