সুন্দরবন হচ্ছে হাজার হাজার প্রাণীর বাসস্থান। কিন্তু প্রতিনিয়ত সুন্দরবনের আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে ,যা ওই অঞ্চলের প্রাণের জন্য হুমকি স্বরূপ। 

বর্তমানে সুন্দরবনে কত প্রাণ রয়েছে তা সঠিক বলা যায় না। কারণ অনেকদিন যাবৎ অধিকাংশ প্রাণীর শুমারি করা হয়নি। 

উল্লেখযোগ্য একটি শুমারি হচ্ছে ১৯৯৭ সালে। ১৯৯৭ সালের শুমারি অনুসারে সুন্দরবনে এক থেকে এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন হরিণ , প্রায় ৫০ হাজার বানর, প্রায় ২৫ হাজার শূকর, প্রায় ২৫ হাজার বন্য বিড়াল ছিল এবং প্রায় ২০০ টি কুমির ছিল। 

বিভিন্ন কারণে সুন্দরবনের বন্য প্রাণের প্রাণ হুমকির মুখে।এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে – 

১। প্রাণী শিকার ও পাচার

২। জাহাজের বজ্র দিয়ে নদী দূষণ এবং পানিকে লবণাক্ত করে তোলা যা ওই অঞ্চলে প্রাণীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। যেমন:- প্রতি বছর অনেক বাঘ লবণাক্ত পানি পান করে মারা যায়।

৩। বিষ দিয়ে মাছ ধরা

৪। অতিরিক্ত মাছ ধরা বা মাছ ধরার সময় ছোট ছোট কুমিরের বাচ্চা ধরা পড়ে এবং মারা যায়।

৫। মৌমাছি চাষিদের পারাপারে অনেক প্রাণী ডিম হারাচ্ছে, যার ফলে প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

৬। অনেক সময় জেলেদের জালে এবং নৌকার চাকায় আটকা পড়ে ছোট ডলফিনের বাচ্চা মারা যাচ্ছে।

এছাড়াও ,বন উজার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে সুন্দরবনের প্রাণ বৈচিত্র্যর হুমকির।

সুন্দরবন  নাম শুনলে আমাদের মাথায় প্রথমত বাঘ এবং হরিণের কথা আসে।

সর্বশেষ বাঘ শুমারি হয় ২০১৮ সালে তখন দেখা যায় ১১৪ টি বাঘ ছিল সুন্দরবনে। অন্যান্য প্রাণী যেমন:- হরিণ ,বানর ইত্যাদি ।এদের সর্বশেষ শুমারি ১৯৯৭ সালে হয়েছে এরপরে আর কোনো শুমারি হয়নি।

সুতরাং , সুন্দরবনের প্রাণ বৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সকলের সচেতনতা ,সরকারি কর্মীদের ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে এবং কিছু বিধি নিষেধ তৈরী করে মানতে হবে।

তথ্যসূত্র

bit.ly/49d7VBc